Blog, Dog, Dog Care

কুকুরকে মাংস কিভাবে খাওয়াবেন?

কুকুরকে কিভাবে ধরনের মাংস খাওয়ানো ভালো তা নিয়ে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। কাঁচা মাংস নাকি সেদ্ধ করা মাংস? যে কোন মাংসই প্রোটিনের চমৎকার উৎস। আর তাই সেদ্ধ এবং কাঁচা দুই ধরনের মাংসের সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। সুতরাং কুকুরকে কিভাবে মাংস খেতে দিবেন তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার উপর নির্ভর করবে।

কাঁচা মাংস খাওয়ানোর নিয়ম:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কুকুরকে কাঁচা মাংস দিতে নিষেধ করা হয় কারন এতে ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবী থাকে যা বমি, জ্বর, ডাইরিয়া ইত্যাদির অসুস্থতার কারন হয়ে থাকে। তবে কাঁচা মাংস হজমকে দ্রুত করে, প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করে এবং এর কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। এটি প্রোটিনের চমৎকার উৎস। তবে কাঁচা মাংস শুধুমাত্র সুস্থ কুকুরকে দিতে হবে যার হজম শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো। অসুস্থ ও দুর্বল কুকুরকে অবশ্যই কাঁচা মাংস খেতে দেওয়া যাবে না কারন অসুস্থ কুকুরের শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে না। আর তাই জীবাণুর আক্রমণে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
কাঁচা মাংসকে কমপক্ষে ২ দিন পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ২০ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে ব্যাকটেরিয়া এবং ক্ষতিকারক জীবাণু মারা যায়। কিন্তু বাসার রেফ্রিজারেটর এই তাপমাত্রা পর্যন্ত পৌছাতে পারে না। তাই নিশ্চিত হওয়ার জন্য থার্মোমিটার কিনে নিতে হবে।

সেদ্ধ রান্না করা মাংস খাওয়ানোর নিয়ম:

মাংস নির্বাচনের সময় হাড়বিহীন মাংস নির্বাচন করতে হবে। এরপর মাঝারি থেকে উচ্চমাঝারি তাপমাত্রায় রান্না করতে হবে। এরপর আপনি চাইলে একটি পাত্রে একটু তেল দিয়ে টুকরোটির দুইপাশ হালকা ভেজে নিতে পারেন। এতে সুন্দর ঘ্রান এবং মজাদার হবে। তবে পেঁয়াজ রসুন একেবারেই ব্যাবহার করা যাবে না। সব মশলা কুকুরের অ্যানিমিয়া, বমি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি সৃষ্টি করে। লবন খুব সামান্য ব্যাবহার করা যেতে পারে, তবে না দিলেও কোন সমস্যা নেই। বরং অতিরিক্ত লবন সোডিয়াম বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে।
মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ঠাণ্ডা করে নিন। এর পর ছোট ছোট টুকরো করুন। এটা খুব জরুরী কারন কুকুর খুব তাড়াহুড়ো করে খায়। ছোট টুকরো তার হজমে সহায়ক হবে এবং এটি খাবারের গতি নিয়ন্ত্রণ করবে।

কিছু জিনিস সবসময় মনে রাখতে হবে-
• হটাৎ করে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করবেন না।
• এক ধরনের খাবার সবসময় না দিয়ে মাঝে মাঝে পরিবর্তন করতে হবে। ফল, সবজি (যেসব কুকুর খেতে পারে) ইত্যাদি খাওয়াতে হবে মাঝে মাঝে।
• খাওয়ার পরে এবং আগে অবশ্যই খাওয়ার পাত্র পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারন অবশিষ্ট খাবার পচে গিয়ে ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি হয়।
• সব সময় বিশুদ্ধ পানি দিয়ে রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *