বিড়াল সবসময়ই সতর্কতার সাথে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান আচড়ায়, চাটাচাটি করে বা চাবায়। এটি একটি অতি সাধারন ঘটনা। কিন্তু অনেক সময় এটা বিড়ালের স্বাভাবিক আচরনের থেকেও অনেক বেশী বেড়ে যায়। আর তখনই এটা রোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।
কারণঃ
১) শরীরে পরজীবী জন্মালে(উঁকুন বা উঁকুন জাতীয়)।
২) দাদ হলে।
৩) এলার্জি(খাবার অথবা পরিবেশগত কারন)।
৪) চামড়া শুকিয়ে যাওয়া।
৫) ব্যাথা অথবা অন্য অস্বস্থিকর কারনে।
৬) একঘেয়েমি থেকে।
৭) উদ্বিগ্ন হলে।
লক্ষন সমূহঃ
ঘন ঘন জীভ দিয়ে শরীর চাটাচাটি, সেই সাথে ঘাড়ে একধরনের শক্ত আবরন থাকা, নতুন কোনো খাবার খাওয়ানোর পর অনবরত চুলকানোর লক্ষন দেখা দেওয়া, চামড়ার উপর ফুসকুড়ি পড়া, রেশ দেখা দেওয়া, একই স্থান অনবরত লেহন করা বা কামড়ানো, নতুন স্থানে স্থানান্তরের পর আচরনের পরিবর্তন।
চিকিৎসাঃ
প্রথম কাজ হলো ভাল করে লক্ষ্য রেখে কি কারনে সমস্যা হচ্ছে তা খুঁজে বের করা। রক্ত চোষা পরজীবীর ক্ষেত্রে বিড়ালের শরীরের পরজীবী নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাজারে বিভিন্ন রকম পন্য পাওয়া যায় তা ব্যবহার করতে হবে। আর যদি খাদ্যের এলার্জির জন্য হয় তাহলে ৬ সপ্তাহের জন্য সেই খাদ্যগুলো বর্জন করতে হবে এবং নতুন খাবার দিতে হবে। এই ৬সপ্তাহে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন খাবারটি আপনার বিড়ালের জন্য উপযুক্ত। আপনার বিড়াল যদি একঘেয়েমি বা উদ্বিগ্ন থাকে তাহলে তাকে বেশী করে সময় দিতে হবে। তার একঘেয়েমি বা উদ্বিগ্নতা দূর করার জন্য ধীরে ধীরে তাকে সাহায্য করতে হবে। এইসব কারনে বিড়াল যদি তার শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে ফেলে তাহলে তাকে এন্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড, এন্টিসিস্টামিন জাতীয় ঔষধ খাওয়াতে হবে।