আমরা প্রায় সময় দেখি আমাদের বিড়াল বমি করছে। বিড়াল বিভিন্ন কারনে বমি করে থাকে। এরমধ্যে একটা সাধারন কারন হতে পারে দ্রুত খাবার খেয়ে ফেলা। আবার অনেক সময় নানারকম সিরিয়াস কারনেও বমি করতে পারে তখন খুব দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে। সাধারনত খাবার ছাড়া অন্যকিছু খেয়ে ফেলা, অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা, খাওয়ার সাথে সাথেই খেলা এসব কারনে বিড়াল বমি করে থাকে। গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল অথবা শরীরের সাধারন কাজের ব্যঘাত ঘটলেও বিড়ালের বমি করার প্রবনতা আছে।
কারণঃ(হঠাৎ এবং তীব্র বমির ক্ষেত্রে)
খাবারের পরিবর্তন, খাবারে অসহিষ্ণুতা, কৃমি, গ্যাস্ট্রোইনটেসটাইনাল নালীর প্রদাহ, হেয়ার বল বা খেলনা খেয়ে ফেলা, কিডনী অকেজো হয়ে যাওয়া, ভাইরাস জনিত কারন, বিষ বা রাসায়নিক পদার্থ খেয়ে ফেলা, অগ্নাশয়ের সমস্যা, ঔষধের প্রতিক্রিয়া, অপারেশনের পরবর্তী সময়, কোষ্ঠ কাঠিন্য, পায়ু পথের প্রদাহ, হৃদপিন্ড পোকা দ্বারা সংক্রমিত হলে, স্নায়ু সম্পর্কিত রোগ হলে।
লক্ষন সমূহঃ
একবার বা দুইবার বমি হবার পর যদি বিড়ালের খাবার গ্রহন, চলাফেরা স্বাভাবিক হয়ে গেলে এটি নিয়ে ভাবনার কিছু নেই। কিন্তু যদি বমির সাথে ডায়রিয়া, পানি শূণ্যতা, তন্দ্রা ভাব থাকা, রক্ত বমি হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, ক্ষুদা এবং পানি পান করার পরিবর্তন হয় তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
চিকিৎসাঃ
বমি হওয়ার পর পর বিড়ালকে কোনো খাবার এবং পানীয় না দেওয়া। কমপক্ষে ২ঘন্টা পর অল্প করে পানি পান করানো এবং ধীরে ধীরে নরম খাবার খাওয়ানো। যেমনঃ সিদ্ধ আলু, চামড়া ছাড়ানো রান্নাকরা মুরগীর মাংস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তরল খাবারের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হয় অথবা বমির উদ্রেগ উপশমকারী ঔষধ দিতে হয়। সঠিক চিকিৎসা নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের উপদেশ নেয়া উত্তম।
আপনাদের ব্লগ গুলো,অনেক উপকারি অনেক কিছু জানতে পারছি। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করি, ফেন্ডস এর মধ্যে যারা বিড়াল পোষে, তাদের সবার সাথে শেয়ার করতে,এবং বিভিন্ন বিড়াল রিলেটেড গ্রুপ যখন কোন সম্যসার সমাধান পোস্ট করা হয়, সম্যসা রিলিটেড আপনাদের ব্লগ গুলো শেয়ার করা।
অসংখ্য কৃতজ্ঞতা pet.com.bd টিম এর প্রতি। 🖤
ধন্যবাদ